Post View : 5
 

স্মরণের আবরণে

(শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে)

সেদিনও ভোর হতে পারতো
সে ভোরও যদি সকাল হতো!
তাঁরাও ভেবেছিলেন, দূরের তারারা
নক্ষত্রের রাজা সূর্যকে জায়গা দিবে;
দুতিনটে দিন পরেই হবে
স্বাধীনতার নব সূর্যোদয়..

তাঁরা সে ভোর দেখেননি
শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনির চৌধুরীরা;
যে ভোরে সৃজিত হতো ‘রাজবন্দির রোজনামচা’, ‘সংশপ্তক’ কিংবা
‘কবর’ বা ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’;
সে সাহিত্য আর আলো দেখেনি;
দেখেনি সে মনীষীরা স্বাধীনতার বিজয় পতাকা।
ডঃ গোবিন্দ চন্দ্র দেব,
ডঃ মোফাজ্জল হায়দার;
ডঃ আনোয়ার পাশা,
ডঃ আবুল খায়ের,
জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা,
ডাঃ এম মর্তুজা, ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, ডাঃ আলিম চৌধুরী, আনম গোলাম মুস্তফা,
গীতিকার আলতাফ মাহমুদ
কবি মেহেরুন্নেসা;
আর ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত,
নূতন চন্দ্র সিংহ
ডঃ আবুল কালাম আজাদ
নজমুল হক সরকারসহ সহস্রাধিক;

আসন্ন নবজাতির নিউক্লিয়াস হয়ে
এগিয়ে নিতো শিশু বাংলাদেশকে।
কিন্তু লাল সবুজের বিজয়কেতন
দেখতে দেয়নি তাদের..
রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর যোগসাজশ
আর পাক বাহিনীর নির্মমতা।

আজ ১৪ ডিসেম্বর, বুদ্ধিজীবী দিবসে
স্মরি সেই বীরসেনানীদের, শ্রেষ্ট বাঙালিদের:
রায়েরবাজার-মিরপুর বধ্যভূমি
কিংবা ঢাকা বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
অাজ নয় কোন প্রতীকী সৌধ;
এ যেন জাতী নির্মাণের তারকাদের
চিরসবুজ গৌরবসৌধ।

————-
মোঃ নাজিম উদ্দিন
১৪ ডিসেম্বর